Monday, October 20, 2025
সত্যের পথে জীবনের হুমকি
শিরোনাম: পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে সত্যতা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও আসামিদের জামিন ও সাংবাদিকের জীবনের ঝুঁকি
ভূমিকা (Introduction)
আমি,মহম্মদ রহমতুল্লাহ Journalist.net-এর গোল্ডেন ভেরিফাইড ক্রাইম রিপোর্টার এবং GIJN-এর সদস্য। এই পোস্টটি আমার জীবনের এক ভয়াবহ ব্যক্তিগত ও পেশাগত লড়াইয়ের দলিল। ২০০৮ সাল থেকে আমার মৃত পিতার বৈধ সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা- আমার বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে মিথ্যা মামলা, হয়রানি এবং বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক হত্যার (Contract Killing) হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই দীর্ঘ
১২ বছরের পথচলায়, স্থানীয় আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার সুস্পষ্ট প্রচেষ্টা দেখা গেছে। এই টাইমলাইন সেই অন্ধকার দিক এবং একজন নাগরিক হিসেবে আমার অদম্য প্রতিরোধের চিত্র তুলে ধরছে।
হয়রানির সূচনা এবং আমার ভবিষ্যৎ নস্যাৎ করার চেষ্টা (২০০৮ - ২০১৩)
২০০৮: আমার আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রতিপক্ষ চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করে।
২০১৩: প্রথম মিথ্যা ফৌজদারি মামলা: আমার বিদেশে উচ্চশিক্ষার ঠিক আগে, আমার বিরুদ্ধে
মিথ্যা তথ্য দিয়ে হামলার/ হত্যা চেষ্টা (Attempt to Murder - Penal Code 307) মামলা দায়ের করা হয়।
আমার প্রতিরোধ: আমি অবৈধভাবে গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট দ্রুত জামিন মঞ্জুর করে। পরবর্তীতে মিউনিসিপ্যাল চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে মিথ্যা অভিযোগের অসারতা প্রমাণিত হয় এবং তিনি প্রতিপক্ষকে আমার পিতার সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দেনা
যা প্রতিফলিত হয়নি।
ফলাফল: স্থানীয়ভাবে সত্য প্রতিষ্ঠিত হলেও, এই মিথ্যা মামলা আমার বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়—যা ছিল প্রতিপক্ষের মূল উদ্দেশ্য।
মিথ্যা অভিযোগের মাত্রা বৃদ্ধি ও শারীরিক ঝুঁকির সূচনা (২০২৩)
মে ২০২৩ (৬ তারিখ): সম্পত্তি দখল নিয়ে আমি পুনরায় পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করি।
মে ২০২৩ (২৮ তারিখ): চরম প্রতিশোধ: আমার অভিযোগের জবাবে প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (ধারা ১০) অধীনে একটি অত্যন্ত গুরুতর মামলা দায়ের করে।
আমার সক্রিয় প্রতিরক্ষা: মিথ্যা মামলার তারিখ জানার সাথে সাথেই আমি সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রতিবেশীর উপস্থিতি নিশ্চিত করে আমার অকাট্য আলিবি (Alibi) প্রমাণ করি।
মে ২০২৩ (১৭ তারিখ): জনসমক্ষে প্রকাশ: স্থানীয় প্রভাব ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা দেখে আমি একটি প্রেস কনফারেন্স আহ্বান করি, যাতে এই হয়রানি জনসমক্ষে আসে।
নভেম্বর ২০২৩: সরাসরি হামলা: হয়রানির মাত্রা বেড়ে শারীরিক সহিংসতায় পৌঁছায়। আমার অনুপস্থিতিতে আমার মাতার উপর শারীরিক হামলার চেষ্টা করা
অভিযোগ দায়ের করেও কোনও ফল এখনও পাওয়া সম্ভব হয়নি বরং বিষয় টি সামান্য বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা চলমান কিন্তু মা এর প্রতি এই অবিচার কোন পশু কি মেনে নেবে?
৩. বর্তমানে চূড়ান্ত হুমকি, বিচারিক বিচ্যুতি এবং নিরাপত্তা সংকট (২০২৪ - ২০২৫)
ঘটনা এবং প্রমাণ:
*দলিল ও সঠিক প্রমাণ থাকবার পরেও পৈতৃক সম্পত্তি অবৈধভাবে ও জাল দলিল ও অঙ্গীকার নামা দিয়ে গোপনে বিক্রয়।
* অংশীদার সম্পত্তি তে একক ভাবে গোপনে গাছ বিক্রয়
* অংশীদার দের অনুপস্থিতি তে জাল সাক্ষর ব্যবহার করে একক মালিকানা দলিল প্রস্তুতির আবেদন এর ডকুমেন্ট হাতে পাওয়া।
আমার পদক্ষেপ: অপরাধ ও মালিকানা বিষয়ে কথা বলতে চাইলে- অঙ্গ হানি ,অপহরণ করে হত্যা হুমকি( অডিও প্রমাণ) মার্চ ১৯, ২০২৫- জিডি ৮৩৯ মামলা নং: ২৮/২৫ ধারা ৫০৬(১)
নিজ প্রাপ্য বুঝে চাইলে সরাসরি প্রাণনাশের হুমকি (২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার হুমকি) এবং গুরুতর শারীরিক ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়।
মার্চ ২৯, ২০২৪ জিডি: ২৩৩১
প্রসিকিউশন নং ৫০/২৫ (ধারা ৫০৬(১))
পরিবর্তিত প্রসিকিউশন নং ৪২/২৫
পুলিশ তাদের তদন্ত রিপোর্টে আদালতে জানায় যে আমার জিডি 'সঠিক' (Genuine) এবং আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ভীতি প্রদর্শনের (Criminal Intimidation) অভিযোগ অফিসিয়ালি নিশ্চিত করে।
আমার অভিযোগের সত্যতা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণিত হয়।
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ কোর্ট হিয়ারিং
পুলিশের Prosecution Report থাকা সত্ত্বেও এবং আমার আবেদন কে অগ্রাহ্য করে, শুনানি ছাড়াই ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াই আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন এবং মামলাটি ফৌজদারি আদালত থেকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে পৌরসভায় স্থানান্তর করেন। যা স্থানীয় প্রভাবের স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
শুনানি পূর্ব হত্যা চুক্তি ও হুমকি:
চার্জশিট এর অন্তর্ভুক্ত ও আইনের প্রতি অবজ্ঞা ও অসম্মান: আসামিরা আমার ছবি ব্যবহার করে 'চুক্তিভিত্তিক হত্যার' (Contract Killing) হুমকি ছড়াতে শুরু করে, এমনকি পুলিশের কাএমনকি যা ২৩ আগস্ট ২০২৫ জানতে পাই ও নিশ্চিত হয়ে
২৭ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে আমি জীবনের নিরাপত্তা, এফআইআর উপেক্ষা এবং সম্পত্তি সুরক্ষার কারণ উল্লেখ করে ডিসি-বগুড়ার কাছে ফায়ারআর্ম লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি।
সর্বশেষ প্রমাণ:
৪ দিন আগে, আসামিদের নির্দেশে আমার ফ্ল্যাটের সিসিটিভি সংযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে কেটে দেওয়া হয়। ইলেক্ট্রিশিয়ানের স্বীকারোক্তির ভিডিও রেকর্ড আমার কাছে আছে, যা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য প্রমাণ করে।
উপসংহার ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা
এই ১২ বছরের লড়াই প্রমাণ করে যে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একজন নাগরিকের জীবন, সম্পত্তি এবং বিচার পাওয়ার অধিকার কীভাবে চরমভাবে লঙ্ঘিত হতে পারে। একজন গোল্ডেন ভেরিফাইড ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে, আমার জীবনের ওপর সরাসরি হুমকি সত্ত্বেও আমি আইনের প্রতি আস্থাশীল।
আমি আমার এই অনুসন্ধানকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া পার্টনারদের (আল জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স) কাছে তদন্তের জন্য এবং জাতিসংঘ (OHCHR, UN Special Rapporteurs)-এর কাছে সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসেবে আমার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরিভাবে পেশ করছি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment